পৃষ্ঠাসমূহ

মেঘালয়ের কোলে জোছনা ও জোনাকি

এই শহর আমাকে ক্লান্ত করে তোলে। বিষণ্ন করে তোলে। নানা জট, নানান জটিলতা আর সম্পর্কের টানাপড়েনে বড্ড হাঁপ ধরে যায়। মনের মধ্যে সর্বদাই একটা...

বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২১

অনুতাপ




কীরে দোস্ত, চুপচাপ বসে আছিস কেন? তুই শালা, কোনো কালেই মানুষ হলি না। আগের মতো রয়ে গেছিস। আমরা সবাই আসর গুলজার করে রেখেছি, আর তুই ভ্যাদা মেরে বসে আছিস। তোর স্বভাব একদম বদলালো না। মিচকা শয়তান হয়ে থাকলি। 

পাসে বসা রন্টির কথায় সুমন একটু বিব্রত হয়। তারপরও হেসে জবাব দেয়, আরে সবাই কি আর তোর মতো মাষ্টারপিস হতে পারে? তুই তো এক ও অদ্বিতীয়। তোর সঙ্গে তো কারও তুলনা হয় না বন্ধু। 

কত দিন পর রন্টির সঙ্গে দেখা। ও আগের মতোই রয়ে গেছে। ছটফটে। দুষ্টু দুষ্টু ভাব। কথা-বার্তায় কোনো রাখঢাক নেই। একাই জমিয়ে রেখেছে আড্ডা। শ্লীল আর অশ্লীল কথার ফুলঝুরি ছোটাতে থাকে। সবাই খুব আমোদ পেতে থাকে। ওকে সমীহ করে চলে সুমন। এমন সব কাণ্ড ঘটায়, যা রীতিমতো অপদস্ত করে ছাড়ে।    

অনেক দিন পর একত্রিত হয়েছে স্কুলের বন্ধুরা। বন্ধু নাজমুলের গুলশানে রাজকীয় অফিস। নাজমুলদের প্রতিষ্ঠান কনস্ট্রাকশন ব্যবসায় দেশের একটি প্রতিষ্ঠিত নাম। ওর প্রতিষ্ঠানের নাম জ্বল জ্বল করে অভিজাত এলাকার সুদৃশ্য সব ভবনে। বন্ধুদের আপ্যায়নের ব্যাপারে ওর বেশ সুনাম রয়েছে। ব্যবহারও খুবই আন্তরিক। অর্থবান হলেও ওর মধ্যে দেখনদারি ভাবটা একদমই নেই। একটা সারল্য রয়ে গেছে। যে কারণে ওর অফিসেই মাঝে-মধ্যে বন্ধুদের কোনো না কোনো উপলক্ষে জম্পেশ আড্ডা বসে। এবারের উপলক্ষ দীর্ঘ দিন পর আমেরিকা প্রবাসী সাইফুলের দেশে ঘুরতে আসা। 

আমন্ত্রণ পেলেও এরআগে কখনই সুমনের এখানে আসা হয় নি। আসলে যে চাকরি করে, তার সঙ্গে টাইম অ্যাডজাস্ট করে কোথাও যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ঘটনাচক্রে আজকের দিনটি ওর ডে-অফ। এ কারণে এবার আর মিস করে নি। ওর সঙ্গে অনেক দিন পর দেখা ছোটবেলার বন্ধুদের। কেমন একটা নস্টালজিক আবহ। যদিও কাউকে কাউকে ও চিনতে পারছে না। অবয়ব ও বেশভূষায় কত না পরিবর্তন এসেছে। শান্ত পুকুরে ঢিল পড়লে যেমন তরঙ্গের সৃষ্টি হয়, কোনো কোনো নাম মাথার মধ্যে তেমনভাবে ঢেউ তুলতে থাকে। ধরি ধরি করেও অধরা থেকে যায়। স্মৃতিরা কেমন ঝাপসা হয়ে গেছে। আবার কত স্মৃতি শুশুকের মতো চট করে ভেসেও ওঠছে। যা এত দিন ঘাপটি মেরে ছিল হৃদয়ের একান্ত নিভৃত কোণে। 

আড্ডা বেশ সরগরম হয়ে ওঠে। স্কুল জীবনের অম্ল-মধুর কত স্মৃতির চর্চা হতে থাকে। কোন শিক্ষকের কী মুদ্রাদোষ ছিল, কার কেমন আচরণ ছিল, তা একে একে উঠে আসে। বন্ধুদের অনেক দুষ্টুমি, প্রেম-প্রীতি, অনেক মজাদার ঘটনাও আলোচনার খোরাক। যেন ফিরে ফিরে আসে হারানো দিনগুলোর মৌতাত।       

বন্ধু রন্টি আগে থেকেই দুষ্টুর শিরোমণি। বাবার ছিল অঢেল টাকা। দু’ হাতে ওড়াতে দ্বিধা করতো না। চেহারা-সুরতও ভালো। হেন কোনো দুষ্কর্ম নেই যে করতো না। শিক্ষকরাও ওকে নিয়ে তটস্থ থাকতেন। সেই বয়সেই রোমিও হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পায়। কী কারণে যেন সুমনের সঙ্গে আলাদা একটা সখ্য ছিল। যদিও স্বভাবের দিক দিয়ে সে রন্টির একদম বিপরীত। অনেক দুষ্টুমিতে সুমনকে সঙ্গী করার চেষ্টা করেও পারে নি। ওকে একবার অকারণে ফাঁসিয়ে দিয়ে বজলু স্যারের পিটুনি খাওয়ায়। বজলু স্যার ছিলেন খুবই রগচটা। পান থেকে চুল খসলেই এমন পিটুনি দিতেন, বাপের নাম ভুলিয়ে ছাড়তেন। রন্টি ব্ল্যাকবোর্ডে একটি মেয়ের ছবি এঁকে পাশে লিখে রাখে আই লাভ ইউ। লিখে কোন ফাঁকে লেখার চকটি সুমনের হাতে দিয়ে যায়। সুমন অন্য বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিল। রন্টি বোর্ডে কী লিখেছে, তা খেয়াল করে নি। স্যার ক্লাসে ঢোকার পর ব্ল্যাকবোর্ডে লেখা দেখার পর অনুসন্ধানী দৃষ্টি চালিয়ে সুমনের হাতে চক দেখতে পান। কোনো কিছু যাচাই না করে সুমনকে বেদম পিটুনি দেন। এ রকম কাণ্ড ঘটিয়ে মজা পেতো রন্টি। কিন্তু পিটুনির সেই কষ্ট সুমন কখনও ভুলতে পারে নি। যে কারণে রন্টির প্রতি ওর একটা ক্ষোভ রয়ে যায়।  

স্কুল ছাড়ার চার-পাঁচ বছর পর একবারই দুজনের দেখা হয়েছিল। তখন রেশমার সঙ্গে সুমনের চুটিয়ে প্রেম চলছিল। শুক্রাবাদের বাসস্ট্যান্ডের কাছে চেরোকী নামে চমৎকার একটা রেস্তোরাঁ ছিল। পরিসর খুব ছোট হলেও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে ছিল খুবই প্রিয়। আড্ডা কিংবা ডেটিংয়ের জন্য এটি হয়ে উঠে একরকম তীর্থস্থান। সেখানে বসে মেয়েরাও দিব্যি সিগারেট, মাঝে-মধ্যে গাঁজায়ও টান দিত। কোনো নেশার প্রতি টান না থাকলেও সেখানে প্রায়শই যেত সুমন। একদিন রেশমাকে নিয়ে অন্তরঙ্গভাবে বসে ছিল। এমন সময় আচানক সেখানে হাজির হয় রন্টি। তাকে হঠাৎ দেখে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে সুমন। কিন্তু তখন আর আড়াল করার সুযোগ ছিল না। রন্টি তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিমায় সুমনকে দেখে বলে উঠে, কীরে দোস্ত, তুই তো ভাজা মাছ উল্টে খেতে জানিস না। তুই প্রেম করতে পারিস? এতো পৃথিবীর অষ্টাচার্য ঘটনা। তুই শালা একটা ছুপা রুস্তম। তারপর যথারীতি আড্ডা বেশ জমিয়ে তোলে। ওর কথায় সুমন বিব্রত হলেও মজা পায় রেশমা। এক পর্যায়ে রন্টি বলে, এখানে গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর না করে চল আমার সঙ্গে। সুমন একদমই রাজি ছিল না। ওর প্রতি তার পুরানো রাগ তখনও থিতিয়ে যায় নি। তাছাড়া রেশমাকে নিয়ে ওর সঙ্গে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। নাছোড়বান্দা রন্টির চাপাচাপিতে হার মানতে বাধ্য হয়। রেশমাও কেন যেন সায় দেয়। চাইলেও সুমনের পক্ষে তখন আর এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয় নি। দামি রেস্তোরাঁয় তিনজনে একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারে। তারপর ওর একটি পরিচিত রেস্টহাউজে ওদেরকে নিয়ে যায়। সুমনকে কাছে ডেকে নিয়ে চুপি চুপি বলে, আমার ওপর কি এখনও রেগে আছিস? আজ তোর রাগ দূর করার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। রন্টির কল্যাণে সেদিন সারাটা দিন রেস্টহাউজের একটি রুমে রেশমাকে নিয়ে কাটিয়ে দেয়। সেখানে দুজনের এক ধরনের হানিমুন হয়ে যায়। এমনিতে খুব রিজার্ভ হলেও রেশমা সেদিন খুব একটা ওজর-আপত্তি করে নি। দিনটি সুমনের জীবনে স্মরণীয় হয়ে আছে। এরআগে এমন অভিজ্ঞতা তার হয় নি। অবশ্য রন্টিকে আর কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পায় নি।   

সেই দিনটির পর অনেকগুলো বছর পেরিয়ে রন্টির সঙ্গে সুমনের ফের দেখা। আড্ডায় মজে থাকলেও ফাঁকে ফাঁকে সুমনের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলতে থাকে। নিতে থাকে অনেক খোঁজ-খবর। রেশমার কথা জানতে চায়। সুমন জানায়, ওর সঙ্গে অনেক আগেই সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে। তার বিষয়ে কিছুই জানে না। এখন তার জীবন চাকরি আর সংসারের গণ্ডিতে আবদ্ধ।

বিকেলে আড্ডা ভেঙে গেলে রন্টি সুমনের কাছে জানতে চায়, সে কোন দিকে যাবে? নিজের গন্তব্য বলতেই রন্টি তাকে তার গাড়িতে লিফট দিতে চাইলে সে আর না করে নি। যেতে যেতে রন্টি জানতে চায়, সে কি নিরামিষ জীবন যাপন করে? চাকরি আর সংসারের বাইরে কি আর কিছুতে কি মন নেই? 

সুমন জানায়, সাদামাটা জীবনে এছাড়া আর কীইবা করার আছে?  

কী করার আছে মানে?

চল, আমার সঙ্গে। তোকে আজ অন্যরকম জীবনের স্বাদ দেবো। 

সুমন জোরের সঙ্গে বলে, না, না দোস্ত, আমার কোনো স্বাদ নেওয়ার ইচ্ছে নেই।  

আরে ব্যাটা, একদিন বউয়ের দুধ না খেলে কিছু হবে না।  

সুমনের কোনো আপত্তি পাত্তা না দিয়ে রন্টি নিজের মতো গাড়ি ছুটাতে থাকে। এরমধ্যে ফোনে কার সঙ্গে যেন সাংকেতিক ভাষায় কিছু আলাপ সেরে নেয়। সাকুরা বারে গিয়ে ক্রয় করে রেড ওয়াইনের একটি বোতল ও কিছু খাবার। এরপর ধানমন্ডির একটা বহুতল ভবনে তাকে নিয়ে যায়। সিকিউরিটির লোকজন ওর বেশ পরিচিত মনে হলো। স্বাচ্ছন্দ্যে গাড়ি পার্ক করে। তারপর লিফটে ভবনের টপ ফ্লোরে ওঠে। লিফট থেকে নেমে একটি বাসার বেল টিপতেই দরোজা খুলে দেন চল্লিশোর্ধ একজন নারী। তার চলনে-বলনে একটা আভিজাত্যের ছোঁয়া লেগে আছে। মুখে ছড়িয়ে আছে অনাবিল হাসি। বুঝতে বাকি থাকে না, রন্টির এখানে নিয়মিতই আসা-যাওয়া আছে। অ্যাপার্টমেন্টটি দামি আসবাবপত্রে সাজানো। সব কিছুতেই রুচির একটা ছাপ। দেওয়ালে ঝুলছে পেইন্টিং। রন্টি সুমনের সঙ্গে ভদ্রমহিলার পরিচয় করিয়ে দেয়। খানিকটা আলাপ জমে উঠার পর ভদ্রমহিলা নিজেই নাস্তাসহযোগে রেড ওয়াইন পরিবেশন করেন। কথা বলতে বলতে তিনজনেই পানীয়সহ খাবারের সদ্ব্যবহার করে। দুই পেগ ওয়াইন খাওয়ার পর সুমনের মাথা কেমন ঝিম ঝিম করতে থাকে। ওর গ্লাসে তৃতীয় পেগ ঢালার পর টুংটাং মিষ্টি একটা আওয়াজ হওয়ার পর ভদ্রমহিলা ওঠে গিয়ে দরজা খুলে দেন। ভিতরে প্রবেশ করে ঝলমলে হিজাব পরা এক তরুণী। চোখ-মুখের অবয়ব দেখেই মনে হলো মেয়েটি দারুণ রূপসী। ঝট করে মেয়েটি হিজাব খুলে ফেলার পর মনে হলো, মেঘের আড়াল থেকে অবগুণ্ঠন খুলে উদ্ভাসিত হলো রূপালি জোছনা। চারপাশটা কেমন আলোকিত হয়ে যায়। সুমনের কাছে সব যেন স্বপ্নের মতো মনে হতে থাকে। তবে মেয়েটিকে তার খানিকটা পরিচিত মনে হতে থাকে। কোথায় যেন তাকে দেখেছে। কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারলো না। মধ্য বয়সে এসে স্মৃতিশক্তি প্রতারণা করে। কিছুক্ষণ বসার পর মেয়েটি ভিতরের একটি রুমে চলে যায়।

রন্টি তখন বলে, দোস্ত, তোকে জীবনের স্বাদ দিতে এনেছিলাম। যা, ভিতরে যা। আস্বাদ নিয়ে আয়। জীবনকে কীভাবে উপভোগ করতে হয়, সেটা চেখে চেখে দেখ। সুমন কিছু বুঝতে পারছিল না। তার মাথা একটু একটু দুলছিল। কথায়ও কেমন জড়তা। সে বললো, বন্ধু, কীসের জীবন? কীভাবে দেখবো? কিছুই তো বুঝতে পারছি না। 

রন্টি বললো, তোকে দেখতে হবে না। বুঝতে হবে না। তোকে দেখানোর জন্য অপেক্ষা করছে। তুই ভিতরে যা। কিছুটা টলতে থাকা রন্টির হাত ধরে ভদ্রমহিলা ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে আগেই ছিল রূপসী মেয়েটি। ভিতরে ঢুকে সুমনের মনে হতে থাকে সে যেন নন্দনকাননে এসেছে। কেমন মৌ মৌ সৌরভ। তার মাঝে সোফায় হেলান দিয়ে বসে আছে এক অপ্সরা। তার পরনে গোলাপি রঙের নিমা। যেন বসরার তাজা গোলাপ। তারপর গোলাপের সুবাস নিতে নিতে তলিয়ে যায় সুখের আবেশে। এমন সুখ জীবনে কখনও পায় নি সুমন।

মেয়েটির নাম রাইমা। তার সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে কথা বলছিল সুমন। ততক্ষণে চলে যাওয়ার জন্য দুজনেই মোটামুটি প্রস্তুত। মেয়েটি খুবই স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড। কথা-বার্তায় কোনো আবডাল নেই। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংলিশের ছাত্রী। কোনো কিছু তোয়াক্কা করার ধাত নেই। সুমনের সঙ্গে যে সময়টুকু সে দিয়েছে, এটা তার রুটিরুজির বিষয় নয়। খুব বেশি প্রয়োজন হলে আর মেজাজ-মর্জির সঙ্গে মিললে মাঝেমধ্যে সাড়া দেয়। এ নিয়ে তার কোনো শুচিবাই নেই। কথা বলার সময় রাইমার মোবাইলের ইমোতে একটি কল আসে। স্থান-কাল-পাত্রের তোয়াক্কা না করেই কল রিসিভ করে রাইমা। কথা বলতে থাকে আম্মু সম্বোধন করে। সে জানায়, তার বান্ধবীর বাসায় আছে। এখনই চলে আসবে। ইমোতে কথা বলা নারী হঠাৎ সুমনের চোখে পড়ে যায়। অবিকল যেন রাইমার প্রতিমূর্তি। দেখে কেমন একটা ধাক্কা খায় সুমন। রাইমা কথা শেষ করলে সুমন জানতে চায়, তোমার আম্মুর নাম কি রেশমা? একটু বিস্মিত হয়ে রাইমা পাল্টা জিজ্ঞেস করে, আপনি কি আমার আম্মুকে চেনেন? সুমন এ কথার কোনো উত্তর দেয় না। তার সব কথা যেন ফুরিয়ে যায়। রাইমার সামনে থেকে সরে যাওয়ার জন্য খুব বেশি ব্যস্ত হয়ে ওঠে। আসলে জীবনে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায়, যার কোনো নিয়ন্ত্রণ কারো হাতে থাকে না। সুমন এক ধরনের অস্বস্তিতে ভুগতে থাকে। জীবনের স্বাদ যে এমন হবে, সে বুঝতে পারে নি। তার বোঝার কথাও নয়। তবুও সে পুড়তে থাকে অনুতাপের অনলে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন