এই ব্যক্তি স্বাধীনতার যুগেও নিজের মতো করে জীবন যাপন করা খুবই কঠিন। কোনো কিছুর সঙ্গে জড়ালে তো কথাই নেই। আর না জড়ালেও রক্ষা নেই। খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত না করা পর্যন্ত রেহাই দেওয়া হয় না। বরেণ্য লেখক হুমায়ূন আহমেদের ক্ষেত্রেও এমনটি হচ্ছে। তিনি যেভাবে জীবন যাপন করতে চেয়েছিলেন, তেমনভাবেই করেছেন। জীবনটাকে তিনি উপভোগ করছেন নিজের মতো করে। এজন্য কাউকে তোয়াক্কা করার প্রয়োজন মনে করেননি। কোনো কিছুকে পাত্তা না দেওয়ার ক্ষমতাও তাঁর ছিল। সৃষ্টিশীল মানুষ হিসেবে তিনি যা করতে চেয়েছেন, সেটাই করতে পেরেছেন। সফলও হয়েছেন। এটাই ছিল তাঁর প্রধান শক্তি।
নারী বলেই কি তাঁদের প্রতি এই নির্দয় মনোভাব? এটা করে হুমায়ূন আহমেদের প্রতি কী ধরনের শ্রদ্ধা প্রকাশ করা হচ্ছে? জীবন তো আর অঙ্ক নয়, সব কিছু মেপে মেপে চলবে। জীবন চলার পথে কত কিছুই তো ঘটতে পারে। সেটাই স্বাভাবিক। এটা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তাহলে অন্যের জীবন নিয়ে কেন এই টানহ্যাঁচড়া? এতে কার কী লাভ হয়? বিদেশে আমাদের দেশটাকে নিয়ে যে নেতিবাচক ইমেজ, সেটা তো আর এমনি এমনি হয়নি। আমাদের নঞর্থক মনোভাবেরই প্রতিফলন ঘটে জাতীয় জীবনে। আমরা কোনো কিছু সহজ ও স্বাভাবিকভাবে নিতে পারি না। সব কিছু তেরছা চোখে দেখাটা স্বভাবে পরিণত হয়েছে। অন্যের বিষয়ে আমাদের মাত্রাতিরিক্ত কৌতূহল ও বাড়াবাড়ি। একটু সুযোগ পেলে হিংস্রভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে মোটেও দ্বিধা করি না। কোনো বোধ-বুদ্ধি, বিচার-বিবেচনাই আমাদের কাজ করে না। এই মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গি খুবই ভয়ঙ্কর। এ থেকে কি পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না? ব্যক্তি স্বাধীনতার মর্ম কি আমরা বুঝতে পারবো না?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন