পৃষ্ঠাসমূহ

মেঘালয়ের কোলে জোছনা ও জোনাকি

এই শহর আমাকে ক্লান্ত করে তোলে। বিষণ্ন করে তোলে। নানা জট, নানান জটিলতা আর সম্পর্কের টানাপড়েনে বড্ড হাঁপ ধরে যায়। মনের মধ্যে সর্বদাই একটা...

রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১

সেই রাতে রাত ছিল পূর্ণিমা

সেই রাতে রাত ছিল পূর্ণিমা

রঙ ছিল ফাল্গুনি হাওয়াতে

সব ভালো লাগছিল চন্দ্রিমায়

খুব কাছে তোমাকে পাওয়াতে।

মন খুশি উর্বশী সেই রাতে

সুর ছিল গান ছিল এই প্রাণে

ঐ দুটি হাত ছিল এই হাতে

কি কথা বলছিলে মন জানে

সব ভালো লাগছিল তুমি ছিলে তাই

মন ছিল মনেরই ছায়াতে।

রাত আসে রাত চলে যায় দূরে

সেই স্মৃতি ভুলতে কি আজ পারি

পুরানো দিন আছে মন জুড়ে

ভালোবাসা হয়েছে ভিখারি

ধূপকাঠি মন জ্বলে একা একা তাই

সেই তুমি নেই তুমি নেই সাথে।


আসলেই কি সেই রাতে পূর্ণিমা ছিল? ঠিক মনে নেই। কিছুই মনে রাখতে পারি না। দিন-তারিখ তো মনে রাখার প্রশ্নই উঠে না। তবে বিশেষ সেই রাতের কথা কখনই ভুলতে পারা যায় না। পারা সম্ভব নয়। সেই রাতে পূর্ণিমা না থাকলেও বুকের মধ্যে ছিল অমল-ধবল জোছনা। আর এ জোছনায় ভেসে গিয়েছিলাম। পেয়েছিলাম টক-ঝাল-মিষ্টি রাত। কোনো আগল ছিল না। কোনো বাঁধন ছিল না। কোনো বিধি-নিষেধ ছিল না। এমন রাত জীবনে আর কখনো আসে নি। কি যে আনন্দময় রাত! কি যে উন্মদনাময় রাত! কি যে মাতাল করা রাত! বৃষ্টির ছোঁয়ায় রাতটা আরো মধুর হয়ে ওঠে। ‘মধুর তোমার শেষ যে না পাই প্রহর হলো শেষ/ভুবনজুড়ে রইলো লেগে আনন্দ-আবেশ’। এমন আনন্দ-আবেশে বুঝে কিংবা না বুঝে হারিয়ে যায় হুঁশজ্ঞান। তারপর আর কিছু জানা নেই।      

আসলেই কি এমন রাত জীবনে কখনো এসেছে? আমার তো কল্পনার শেষ নেই। জেগে জেগে কত না স্বপ্ন দেখি। এও কি তেমন কোনো কল্পনা বা স্বপ্ন? কিশোর কুমারের গানের মতো একটি রাতের অপেক্ষায় থাকার চেয়ে মধুর স্বপ্ন আর কি হতে পারে? 


(আজ কিন্তু জোছনা ভেজা রাত। এমন মায়াবী জোছনায় বেগম আখতারের কণ্ঠে ঝরে পড়ে অভিমান, জোছনা করেছে আড়ি/আসে না আমার বাড়ি/গলি দিয়ে চলে যায়/লুটিয়ে রুপোলি শাড়ি/চেয়ে চেয়ে পথ তারই/হিয়া মোর হয় ভারী/রুপের মধুর মোহ/বলো না কী করে ছাড়ি।)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন