পৃষ্ঠাসমূহ

মেঘালয়ের কোলে জোছনা ও জোনাকি

এই শহর আমাকে ক্লান্ত করে তোলে। বিষণ্ন করে তোলে। নানা জট, নানান জটিলতা আর সম্পর্কের টানাপড়েনে বড্ড হাঁপ ধরে যায়। মনের মধ্যে সর্বদাই একটা...

রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৩

চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়...

একজন কবির ব্যক্তিগত জীবনাচার কিংবা তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের চেয়ে তাঁর কবিতাই পাঠকের কাছে তাঁকে চিনিয়ে দেয়। কবিতায় প্রকাশ পায় তাঁর জীবন-ভাবনা এবং জীবনের নান্দনিক সৌন্দর্য। কবির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠার চেয়ে তাঁর কবিতার সঙ্গে পরিচয় হওয়াটাই আনন্দদায়ক। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কবির কবিতা পাঠ করি। এর মধ্যে কোনো কোনো কবিতা আমাদের সহজেই কাছে টেনে নেয়; আবার কোনো কোনো কবিতা হয়তো আমাদের অন্তরকে স্পর্শও করে না। কে কোন্ কবিতায় অবগাহন করবেন- এটা নির্ভর করে পাঠকের রুচি, সৌন্দর্যবোধ ও চিন্তা-ভাবনার ওপর। কোনো কবি হয়তো আমাদের কাছাকাছি বসবাস করে কবিতা লিখছেন কিংবা দূরে মফস্বল থেকেও কেউবা লিখছেন কবিতা- এতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু তাঁর কবিতা যখন আমাদের কাছে পৌঁছে যায়, তখন সেই কবি আমাদের হৃদয়ের আপনজনা হয়ে ওঠেন। অনেক কবির পরিচয় জানা হয় না, সামনাসামনি দেখাও হয় না; কিন্তু তাঁর কাব্য ভাবনা আমাদের মর্মমূল ছুঁয়ে যায়। পাঠকের সঙ্গে এভাবেই গড়ে ওঠে একজন কবির অন্তরের সম্পর্ক। যখন একজন কবির তিরোধানের খবর পত্রিকায় পাঠ করি কিংবা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জানতে পাই, তখন একজন ঘনিষ্ঠজনের চলে যাবার অনুভূতি নিয়ে আমরা পাঠকরা কেঁপে উঠি। এছাড়া কিই-বা করতে পারি!
সাম্প্রতিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি সিকদার আমিনুল হকের চলে যাওয়াটায় মনে হচ্ছে একজন প্রিয়জনকে হারালাম। সাহিত্যের অঙ্গন এবং সংবাদপত্রের পাতায় তাঁর নিত্য উপস্থিতিতে আমরা তাঁকে একজন আপনজন হিসেবে মনে করতাম। একই শহরের বাসিন্দা হিসেবে, তাঁর কবিতার পাঠক হিসেবে এবং কখনো-সখনো কাছাকাছি হওয়ার সুবাদে সিকদার আমিনুল হকের অনুপস্থিতি আমাকে বিষণ্ন ও বিপর্যস্ত করে দেয়। আমি অবশ্য কবিতার বোদ্ধা পাঠকও নই, কবিতা বুঝি কি বুঝি না- সেটাও কোনো বিষয় নয়। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং সহকর্মী ছাড়াও এ শহর, এ দেশের এমন কিছু ব্যক্তি বা ব্যক্তিত্ব আছেন, যাঁদের সাথে কখনো দেখা হয়নি, আদৌ হবে কিনা জানি না; কিন্তু তাঁদের কর্মকাণ্ডে আমরা তাঁকে বা তাঁদের আপনজন হিসেবেই ভাবতে ভালোবাসি। আর সিকদার আমিনুল হককে তো চিনেছি নানানভাবে। সেই কৈশোরে তাঁর কবিতার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রোমান্টিক তবে অনুচ্চ কণ্ঠে কবিতা পড়তে দেখেছি ‘পদাবলী’র কবিতা পাঠের আসরে।
আশির দশকে যখন তাঁর সম্পাদনায় সাপ্তাহিক ‘বিপ্লব’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়, সেটি গুণে, মানে ও স্মার্টনেসে সবার নজর কেড়ে নেয়। তখনকার প্রকাশনার মানের তুলনায় এ পত্রিকাটি ছিল দারুণ ঝকঝকে। আমরা যারা তরুণ ছিলাম, তাঁরা এই পত্রিকার প্রেমে পড়ে যাই। কিন্তু যা কিছু ভালো, তার আয়ু কেন জানি হয় স্বল্পায়ু। আমাদের দেশে এটি যেন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। যে কারণে ‘বিপ্লব’ পত্রিকাটির অকালে ঝরে যাওয়ায় আমরা কষ্ট পেয়েছি। সে সঙ্গে সম্পাদনার ক্ষেত্রে একজন রুচিবান ও পরিশীলিত ব্যক্তির অনুপস্থিতি পলে পলে অনুভব করেছি। এরপর আর তিনি সম্পাদনার কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন বলে মনে হয় না। তিনি ছিলেন ষাট দশকের বহুল আলোচিত ‘স্বাক্ষর’ গোষ্ঠীর অন্যতম পুরোধা কর্মী। তাঁর প্রথম সম্পাদিত পত্রিকা ‘সাম্প্রতিক’ এবং পরবর্তীকালে ‘বিপ্লব’-এর মতো দুটি ধারালো পত্রিকা প্রকাশ করে যেহেতু বেশি দূর অগ্রসর হতে পারেননি, সম্ভবত সে কারণে সম্পাদনার সঙ্গে নিজেকে আর জড়াননি। হয়তো অভিমান করে দূরে থেকেছেন। এ কারণে আমরা একজন মননশীল, যোগ্য ও মেধাবী সম্পাদককে সম্পাদনার জগত থেকে খুব দ্রুত হারিয়ে ফেলি। আর্থিক অসচ্ছলতা তাঁকে কখনো স্পর্শ করতে না পারায় শুধু কাব্যচর্চা করেই কাটিয়ে দিয়েছেন পুরোটা জীবন। পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে না জড়ালেও পত্রিকার সঙ্গে সম্পর্কটা কখনোই তিনি এড়াতে পারেননি।
১৯৮৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে দেশের প্রধান কবি শামসুর রাহমানের সম্পাদনায় (তিনি ছিলেন প্রধান সম্পাদক) এবং সাবের হোসের চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় (প্রিন্টার্স লাইন অনুযায়ী তিনি ছিলেন পত্রিকার সম্পাদক। বর্তমানে দৈনিক ভোরের কাগজ-এর প্রকাশক) ২১/১ ইস্কাটন গার্ডেন রোড থেকে প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক ‘মূলধারা’। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হন এক ঝাঁক মেধাবী তরুণ এবং তারুণ্যের দীপ্তিতে ভাস্বর তারুণ্য পেরিয়ে আসা ক’জন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন- কবি মোহন রায়হান, কবি মারুফ রায়হান, চিত্রশিল্পী ইউসুফ হাসান (বর্তমানে নিজস্ব বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, চিত্রশিল্পী রাকিব হাসান(বর্তমানে কানাডা প্রবাসী), সালাম সালাহউদ্দিন (বর্তমানে দৈনিক আজকের কাগজ-এর সম্পাদকীয় বিভাগে আছেন)। নিয়মিত লিখতেন কবি আবু কায়সার, হেদায়েত হোসেন মোরশেদ, মতিউর রহমান (বর্তমানে প্রথম আলো সম্পাদক), কবি সানাউল হক খান, আবদুল কাইয়ুম মুকুল (বর্তমানে দৈনিক প্রথম আলো’র যুগ্ম সম্পাদক), মোজাম্মেল হোসেন (বর্তমানে দৈনিক প্রথম আলো’র নির্বাহী সম্পাদক), বিভুরঞ্জন সরকার (বর্তমানে মৃদুভাষণ-এর নির্বাহী সম্পাদক), মুহাম্মদ হিলালউদ্দিন (রম্য লেখকখ্যাত হিলাল ফয়েজী), সঞ্জীব চৌধুরী (বর্তমানে দৈনিক যুগান্তর-এর সহকারী সম্পাদক), সারোয়ার কবীর (বর্তমানে সাপ্তাহিক বর্তমান দিনকাল-এ) প্রমুখ খ্যাতিমান ও প্রতিভাবানরা এবং খণ্ডকালীন রিপোর্টার হিসেবে এই নিবন্ধকার। এছাড়া ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছেন খন্দকার তারেক (পাক্ষিক ক্রীড়াজগত-এ কর্মরত) ও শামসুল হক টেংকু (বর্তমানে দৈনিক ভোরের কাগজ-এ)। পরে পত্রিকাটি ট্যাবলয়েডে পরিণত হলে যোগ দেন মাহমুদ শামসুল হক (বর্তমানে দৈনিক জনকণ্ঠে), ফটোগ্রাফার চঞ্চল মাহমুদ, হাবিব ওয়াহিদ শিবলী, নাট্যাভিনেত্রী মুনীরা বেগম মেমী (‘মূলধারা’য় সম্পর্কটা সুদৃঢ় হওয়ায় পরবর্তীকালে শিল্পী ইউসুফ হাসানের গৃহিণী মুনিরা ইউসুফ), চিত্রশিল্পী জুয়েল, ফরহাদ প্রমুখ। উজ্জ্বল, উচ্ছল কখনো-সখনো ‘উচ্ছৃংখল’ বিভিন্ন মেজাজের এই লেখক, সাংবাদিক, চিত্রশিল্পী, আলোকচিত্রশিল্পীসহ সবাইকে এক সুতোর মালায় বেঁধে রেখেছিলেন মেধা ও প্রজ্ঞায় উজ্জ্বল এবং শান্ত ও ধীর-স্থির স্বভাবের বেনজীর আহমেদ (বর্তমানে দৈনিক ভোরের কাগজ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক)। ‘মূলধারা’ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির অঙ্গনে সাংঘাতিক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। প্রথমে ম্যাগাজিন, তারপর ট্যাবলয়েড আকারে প্রকাশিত হয়ে পত্রিকাটি দারুণভাবে কাঁপিয়ে দেয়। লেখায়, রেখায়, ছাপায়- সব দিক দিয়ে নতুন দিগন্তের সূচনা করে। চারপাশকে সচকিত ও আলোকিত করে তোলে ‘মূলধারা’। এ পত্রিকাকে কেন্দ্র করে মূলত নির্বাহী সম্পাদক বেনজীর আহমেদকে বৃত্তে রেখে শহরের অন্যতম সেরা আড্ডা, গুলতানি, পারস্পরিক সম্পর্ক আর হৃদয়ের লেনদেনের উষ্ণতায় সরগরম হয়ে উঠতো। আড্ডা ঝলসে উঠতো যেন ধারালো তরবারির মতো। এই ঝলসানো ও মধুময় আড্ডায় কেইবা সামিল হতেন না? সাহিত্য, নাটক, চিত্রকলা, সংগীত, ক্রীড়ার তুখোড়, মৃদ্যুভাষী ও রাগী তরুণরা হঠাৎ হঠাৎ এসে আসর গুলজার করে দিতেন।
এঁদের মাঝে নিয়মিত আসতেন কবি সিকদার আমিনুল হক। ঘনিষ্ঠ মহলে যিনি ‘দীপক’ নামে পরিচিত। ধীর পদক্ষেপে এসে খুবই নীরবে নির্বাহী সম্পাদক বেনজীর আহমেদের কাছাকাছি একটা চেয়ারে আয়েশী ভঙ্গিতে বসে খুব সম্ভবত মুঠোবন্দী একটির পর একটি সিগারেটে সুখটান দিতেন। হাওয়ায় ধূম্রজাল পাক খেতে থাকলে আড্ডায় সরব হতেন ধীরে-সুস্থে ও মার্জিত ভঙ্গিমায়। তাঁর পোশাক-আশাক, চলাফেরা, বসা ও তাঁর কথা বলার স্টাইলটি ছিল ভারি আকর্ষণীয়। তাঁর সবকিছুতেই ছিল আভিজাত্য ও বনেদিয়ানার ছাপ। স্মিত হাসিটি ছিল মাধুর্যময়। সেই প্রথম তাঁকে অন্তরঙ্গভাবে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়। আমার কাছে তাঁকে শুধু একজন আধুনিক কবি হিসেবে নয়, একজন আধুনিক মানুষ হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। শিক্ষা, মেধা ও পাণ্ডিত্যে- সব দিক দিয়েই যেহেতু আমি পিছিয়ে ছিলাম, সঙ্গত কারণে আড্ডার মিছিলে আমি ছিলাম একজন নির্বাক স্রোতা। তবে সবার প্রাণের উত্তাপ আমাকে দারুণভাবে স্পর্শ করতো, যে কারণে এই আড্ডাকে কখনোই এড়াতে পারতাম না। সাধারণত দেখা যেত, রাত বাড়ার সাথে সাথে আড্ডা ফাঁকা হতে শুরু হলে শেষ অবধি থেকে যেতেন আড্ডার মধ্যমণি বেনজীর আহমেদ, কবি সিকদার আমিনুল হক, অরুণ ও ফরিদ নামের দুই আড্ডাবাজ ভদ্রলোক, আর এই অধম। প্রায় প্রতিদিনই আমরা ইস্কাটন থেকে হেঁটে হেঁটে যেতাম এলিফ্যান্ট রোডে। কবি সিকদার আমিনুল হক ও বেনজীর আহমেদ- উভয়েরই গন্তব্যস্থল ছিল এলিফ্যান্ট রোড। সেখানে পৌঁছেও রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আরো কিছুক্ষণ আড্ডা মেরে গভীর রাতে বাসার দিকে ছুটতাম। কবি সিকদার আমিনুল হকের সঙ্গে এভাবেই ভেতরে ভেতরে একটা সম্পর্ক দাঁড়িয়ে যায়। বয়সের ব্যবধান, আপাদমস্তক কবিসুলভ ভারিক্কীয়ানার পাশাপাশি আমার স্বভাবসুলভ লাজুকতা ও নির্লিপ্ত মনোভাবের কারণে তাঁর সঙ্গে কখনোই তেমনভাবে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠেনি। কিন্তু তারপরেও তাঁর সঙ্গে একটা অন্তরঙ্গতা অনুভব করতাম। একজন কবি, একজন রুচিশীল মানুষ এবং সর্বোপরি একজন কাছের মানুষ হিসেবে হৃদয়ের জমিনে তাঁর ছাপ চিরস্থায়ী হয়ে যায়।
মৃত্যুর পর কবি সিকদার আমিনুল হক সম্পর্কে লেখা হয়েছে : ষাট দশকের শীর্ষস্থানীয় এই কবির আকস্মিক মৃত্যুতে বাংলা কবিতার অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তিনি আমৃত্যু শুদ্ধ কবিতা চর্চায় নিমগ্ন থেকে অন্যদেরকেও অনুপ্রাণিত করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন প্রগতিশীল সংস্কৃতিসেবী, মানবতাবাদী ও প্রেমিক কবি। তার নিরলস ও নিরবচ্ছিন্ন কাব্যসাধনা আবহমান বাংলা কবিতার ধারায় একটি সুস্পষ্ট নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। দুটি প্রবন্ধের বইসহ তাঁর গ্রন্থের সংখ্যা পনেরোর অধিক। তাঁর অগ্রন্থিত ও অপ্রকাশিত রচনার সংখ্যাও প্রচুর। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছেÑ ‘দূরের কার্নিশ’, ‘তিন পাঁপড়ির ফুল’, ‘পারাবাত এই প্রাচীরের শেষ কবিতা’, ‘সতত জানার মানুষ’, ‘কাফকার জামা’, ‘বাতাসের সঙ্গে আলাপ’, ‘বিমর্ষ তাতার’, ‘সুপ্রভাত হে বারান্দা’, ‘সুলতা আমার এলসা’, ‘নির্বাচিত কবিতা’ এবং প্রবন্ধের বই ‘শব্দ থেকে ভাবনায়’ ও ‘আমার হল না গান’ মৃত্যুচিন্তা ও অন্যান্য প্রবন্ধ’। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। একুশে বইমেলা উপলক্ষে ‘মূলধারা’ থেকে প্রকাশিত হয় তাঁর ‘সতত ডানার মানুষ’ কাব্যগ্রন্থ। এ গ্রন্থটি পাঠক মহলে আলাদা আবেদন সৃষ্টি করে। বিদগ্ধ পাঠকরা অনুধাবন করতে পারেন কবি সিকদার আমিনুল হকের নতুন কণ্ঠস্বর। এ গ্রন্থটিকে কেন্দ্র করে আমরা ‘মূলধারা’র সবাই সে বছরের বইমেলায় চায়ের স্টলে আড্ডার তুফান ছুটিয়েছি। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া চাকমা মেয়েদের আকর্ষণে তাঁদের পরিবেশিত কাপের পর কাপ চা নিমিষেই উজাড় করে দিয়েছি। কবি হিসেবে সিকদার আমিনুল হকের মূল্যায়ন করবেন বোদ্ধা, সমালোচক ও বয়ে যাওয়া সময়- সে পথ আমার নয়। কিন্তু একজন সজ্জন, রুচিশীল মানুষ হিসেবে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব ও কথার মাধুর্য দিয়ে যে নিভৃত জগত তিনি গড়েছিলেন, দূর থেকে আমরা যারা ছিলাম তার গুণমুগ্ধ অনুরাগী, তাঁরা তার অনুপস্থিতি অনুভব করবো প্রতিটি মুহূর্ত।

দৈনিক ভোরের কাগজ : ২২ মে ২০০৩

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন