বাঙালির সব ঐতিহ্যই একে একে হারিয়ে যেতে বসেছে। সাত সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে বাঙালি খাদ্যের যে সুনাম ও সুখ্যাতি, তা-ও যেন ম্লান হয়ে যাচ্ছে। যুগ যুগ ধরে বাঙালির আহার-বিহার ও আতিথেয়তা দেশ-বিদেশে দারুণভাবে প্রশংসিত হয়ে এসেছে। কিন্তু নষ্ট সময়ের আবর্তে বাঙালির সব গৌরব যেন অস্তমিত হতে চলেছে। মৌসুমি ফল আর পদ্মার ইলিশ বাঙালির জাতীয় গৌরব, সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। ফল ও ইলিশ দিয়ে মেহমানদের আতিথেয়তা করা বাঙালির চিরায়ত অভ্যাস এবং এটা সব সময় দারুণভাবে প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু মৌসুমি ফল ও ইলিশের সেই খ্যাতি এখন আর নেই বললেই চলে। কুচক্রী ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফার কাছে সমর্পিত হয়েছে আমাদের যাবতীয় অর্জন। গাছের ফল ও নদীর ইলিশও তা থেকে বাদ যায়নি। বরং এক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে মুনাফালোভীরা। ভেজালে ভেজালে ছেয়ে গেছে বাংলাদেশের প্রতিটি পণ্য। নির্ভেজাল কোনো কিছু পাওয়া এখন কঠিন হয়ে উঠেছে। বিশেষত খাদ্য জাতীয় পণ্য সয়লাব হয়ে গেছে ভেজালে। আর এই ভেজাল জাতীয় খাদ্য খেয়ে বাংলাদেশে রোগ-বালাই বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপকভাবে। হাট-বাজারে বা মার্কেটে গিয়ে কোনো ক্রেতার পক্ষেই নির্ভেজাল জিনিস যাচাই করে ক্রয় করা দুঃসাধ্য ব্যাপার। ফলে অধিকাংশ মানুষই এখন ভেজাল জিনিসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে নিয়মিত ভেজাল জিনিস খাচ্ছেন। বিক্রেতাদের কাছে এক ধরনের জিম্মি হয়ে পড়েছে ক্রেতারা। ভেজালকারীরা যতটা সংঘবদ্ধ ও শক্তিশালী, অসংগঠিত ক্রেতাদের তাদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। বাংলাদেশের পণ্যের গুণ ও মান যাচাই করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউট (বিএসটিআই) নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু তাদের সক্রিয়তা তেমনভাবে টের পাওয়া যায় না। যে কারণে ভেজাল পণ্য, ভেজাল খাদ্যে পরিবৃত হয়ে ক্রেতারা ক্রমশ ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর পথে এগিয়ে চলেছে। তাদের রক্ষা করার কোনো ব্যবস্থা বা উদ্যোগ নেই বললেই চলে। ভেজাল পণ্য, ভেজাল খাদ্যদ্রব্যের মাঝে এতদিন ক্রেতাদের কাছে নির্ভেজাল হয়ে ছিল মৌসুমি ফল এবং শাক-সব্জি। সবারই এমন একটা ধারণা ছিল- গাছের ফলমূল ও শাক-সব্জিতে সম্ভবত ভেজাল দেয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু এ ধারণাটাও মিথ্যে হতে চলেছে। জ্যৈষ্ঠ মাসের তালপাকা গরমে নগরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও মধুমাস হিসেবে জ্যৈষ্ঠের আলাদা একটা মর্যাদা রয়েছে। জ্যৈষ্ঠের পাকা আমের মধুর রসে সবার মুখ হয় রঙিন।
এই মাস হরেক রকম মৌসুমি ফলে টইটম্বুর হয়ে থাকে। আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, তরমুজ, ফুটি, পেঁপে, কলা এবং মৌসুমি শাক-সব্জিতে সর্বত্র একটা মৌ মৌ সৌরভ ছড়িয়ে পড়ে। অতীতে আমরা দেখেছি, নির্দিষ্ট সময়ে মৌসুমী ফল গাছে ধরেছে এবং নির্দিষ্ট সময় তা পেকেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যাচ্ছে, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই টসটসে পাকা আম, তরমুজ, পেঁপে, টমেটো, কলা ইত্যাদি বাজারে এসে যাচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চয়ই ব্যতিক্রমধর্মী। হাজার বছর চলে আসা নিয়মের হঠাৎ করে এভাবে ব্যত্যয় ঘটায় সবাই অবাক হয়ে যায়। সময়ের জিনিস অসময়ে পেয়ে গেলেও তার দাম যেমন সাধারণের নাগালের বাইরে থাকে, তেমনি তার স্বাদও মোটেই মধুর নয়। জানা যায়, বিভিন্ন রকম বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে মৌসুমি ফল পাকানো এবং শাক-সব্জি তরতাজা করা হয়। ইথিলিন অক্সাইড দিয়ে কাঁচা আম, পেঁপে, তরমুজ, কলা, টমেটো ইত্যাদি ফল কৃত্রিমভাবে পাকানো এবং ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য মৌসুমি ফল ও শাক-সব্জি সতেজ করার জন্য কার্বাইড পাউডার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ইথিলিন অক্সাইডও রাসায়নিক তরল পদার্থ। সাধারণত এটি বিভিন্ন শিল্পের রাসায়নিক উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটা দাহ্য জাতীয় ও অত্যন্ত বিক্রিয়াশীল। এর সংস্পর্শে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, ফুসফুস ক্ষত-বিক্ষত, মাথাধরা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট ও সাইনোসিস ছাড়াও ক্যান্সারসহ মারাত্মক অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাংলাদেশে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে ফল পাকানোর জন্য। আম, কাঁঠাল, পেঁপে, কলাসহ গ্রীষ্মকালীন কাঁচা ও অপরিপক্ব ফল দ্রুত পাকাতে হলে ফলের ওপর ইথিলিন অক্সাইড ছিটিয়ে দিতে হয়। এরপর সারারাত ঢেকে রাখলে ফলগুলো কৃত্রিমভাবে পেকে এমন রূপ ধারণ করে- মনে হবে গাছপাকা ফল। কিন্তু এই রাসায়নিক পদার্থ ফলের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। সঙ্গত কারণে ফলগুলো বিষাক্ত হয়ে ওঠে। যা খেলে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে, কার্বাইড হলো এক ধরনের পাউডার। এ পাউডার দিয়ে গ্যাস বেলুনের গ্যাস তৈরিতে লাগে। এ পাউডারে ফলের রঙ পরিবর্তন ও সতেজকরণ করা হয়। কার্বাইড মানবদেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে থাকে। আর এসব ফল ও শাক-সব্জি খেয়ে ক্রেতারা ক্যান্সার, শ্বাসকষ্ট, লিভার ও কিডনির রোগ এবং চর্মরোগসহ নানা মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষত শিশু ও গর্ভবতী মহিলারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যাপক সংখ্যায়। বাংলাদেশে মৌসুমি ফল ও শাক-সব্জির অসম্ভব কদর। দাম বেশি হলেও সব ধরনের ক্রেতাই কম-বেশি তা ক্রয় করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিক্রেতাদের প্রলোভন ও অসচেতনতার কারণে অসংখ্য মানুষ মারাত্মক রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে। সম্প্রতি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় কপার সালফেট ব্যবহার করে কাঁঠাল, কলা ও অন্যান্য ফল পাকানোর খবর জানা যায়। এখানে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কপার সালফেট দিয়ে পাকানো কাঁঠাল খেয়ে একজনের মৃত্যু ও ১১ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সবাই আক্রান্ত হয়েছে জ্বর, পাতলা পায়খানা, বমি ও পেট ব্যথায়। যুক্তরাষ্ট্রে ইথিলিন অক্সাইড কীটনাশক, কসমেটিক্স ইত্যাদি তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। আর যেসব শ্রমিক এসব উৎপাদনের কাজে সম্পৃক্ত, তাদের মধ্যে একটি বিরাট অংশ লিউকেমিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে ঝরে পড়ছে।
আর সেই ইথিলিন অক্সাইড আমরা এখন খাদ্যের সঙ্গে গলাধঃকরণ করছি। বিষয়টি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। ইথিলেন অক্সাইড ও কার্বাইড পাউডার সাধারণত সবার হাতে পৌঁছানোর কথা নয়। নির্দিষ্ট প্রেসক্রিপশন কিংবা সার্টিফিকেট ছাড়া ওষুধ বিক্রেতাদের এটা বিক্রি করার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ থাকার কথা। কিন্তু মুনাফার আশায় বিক্রেতারা কোনো রকম বিধি-নিষেধের তোয়াক্কা না করে যার-তার কাছে ইথিলিন অক্সাইড ও কার্বাইড পাউডার বিক্রি করছে। কিছুসংখ্যক লোক এটা বুঝে অধিক মুনাফার লোভে মৌসুমি ফল ও শাক-সব্জিতে ব্যবহার করলেও অধিকাংশ ফল ও শাক-সব্জি বিক্রেতা এর ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে মোটেও ওয়াকিবহাল নয়। তেমনিভাবে ওয়াকিবহাল নয় ক্রেতারাও। কেননা, এমন একটি অভিনব প্রতারণার ফাঁদ যে পাতা হয়েছে, এটা ক্রেতাদের পক্ষে বোঝা বা অনুধাবন করা মোটেও সম্ভব নয়। আর এ জন্য আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এই কিছুদিন আগেও স্বাদে-গন্ধে ইলিশ মাছের কোনো তুলনা ছিল না। এক বাড়িতে ইলিশ মাছ রাঁধা হলে তার গন্ধ পেতেন আশপাশের বাড়ির লোকেরা। কিন্তু ইদানীং ইলিশ মাছের স্বাদ ও গন্ধ তো দূরে থাক, খেতেও ইচ্ছে করে না। মাছের রাজা ইলিশ তার গুণাগুণ ও মর্যাদা হারিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ও সবচেয়ে বড় মৎস্য সম্পদ হলো ইলিশ মাছ। একক প্রজাতি হিসেবে বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের শতকরা প্রায় ২০ ভাগই ইলিশ। সেই প্রাচীনকাল থেকে ইলিশের প্রতি বাঙালির আকর্ষণ চিরন্তন। শুধু প্রিয় খাদ্য হিসেবে নয়, জেলেদের আয়ের প্রধান উৎসও ইলিশ। কিন্তু নানাবিধ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও মানুষের লোভের কারণে ইলিশের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। সাগর, মোহনাঞ্চল ও নদীতে ইলিশের দেখা মেলে। উপকূলীয় নদ-নদীসমূহে পর্যাপ্তসংখ্যক ইলিশের বিচরণ। এ উপমহাদেশের ৭৫ শতাংশ ইলিশের বিচরণস্থল আমাদের এই বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইলিশের খ্যাতি জগতজোড়া। বিশেষ করে কলকাতায় বসবাসরত পূর্ববাংলার মানুষ এবং অভিবাসী বাংলাদেশীদের কাছে ইলিশ মাছ এক ধরনের নস্টালজিয়া। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ফুটবল খেলায় জয়ী হলে ইলিশের চাহিদা দারুণভাবে বৃদ্ধি পায়। ইলিশ মূলত সামুদ্রিক মাছ। প্রজনন মৌসুমে এ মাছ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে উজান স্রোতে সাঁতার কেটে চলে আসে। ডিম ছাড়ার পর আবার সমুদ্রে ফিরে যায়। ডিম থেকে পরিপক্ব মাছ হওয়ার মাঝামাঝি সময়টাকে বলা হয় ‘জাটকা’। জাটকা বড় হওয়ার জন্য সমুদ্রে চলে যায়। পরিপক্বতা লাভের পর প্রজননের জন্য সমুদ্র হতে মিঠা পানিতে আসে। কিন্তু মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা জাটকা মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করায় নদীর ইলিশের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। ষাটের দশক থেকে ইলিশের উৎপাদন হ্রাস পেতে থাকে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের নদ-নদীতে আর ইলিশ মাছ দেখা যাবে না বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০০০ সালে ২০ হাজার টন জাটকা ধরা পড়েছে। ১৯৯০ সালে এর পরিমাণ ছিল ৫ হাজার টন। এত জাটকা ধরার পরও বাংলাদেশে বছরে ইলিশ উৎপাদন হয় দেড় লাখ টন। ইলিশ মাছ তার গতিপথ পরিবর্তন করে মিয়ানমারের নাফ ও অন্যান্য নদীতে চলে যাচ্ছে। আগে বাংলাদেশের যেসব নদীতে ৯৫ শতাংশ ইলিশ পাওয়া যেত, এখন সেখানে তা হ্রাস পেয়ে ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
আমরা বাজারে যে ইলিশ মাছ দেখতে পাই, তার সিংহভাগই সমুদ্রের ইলিশ এবং মিয়ানমার থেকে আসে। যে কারণে ইলিশ মাছে মিঠা পানির স্বাদ ও গন্ধ নেই। তবে সরকারিভাবে ইলিশ মাছ হ্রাস পাবার অন্যতম কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে নদ-নদীর উজান এলাকায় পলি জমে নাব্যতা কমে যাওয়ায় পদ্মা ও মেঘনাসহ দেশের সব নদীর পানি প্রবাহ হ্রাস পাওয়ায় ইলিশের প্রজননক্ষেত্র বিনষ্ট, প্রজনন মৌসুমে অধিকহারে ডিমওয়ালা ইলিশ ও জাটকা নিধন করায় ইলিশের বংশবৃদ্ধি ব্যাহত, নদীতে ইলিশের সংখ্যা হ্রাস, প্রবাহিত নদীগুলোর উজানে ফারাক্কাসহ ভারতের বিভিন্ন বাঁধ নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের নদীতে পানি প্রবাহ হ্রাস ও গতিপথ পরিবর্তিত হওয়া, দেশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও সেচ প্রকল্পের কারণে নদ-নদীর স্বাভাবিক গতিপথ ব্যাহত এবং কারেন্ট জালের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি। এসব কারণে বাংলাদেশের নদীতে ক্রমান্বয়ে ইলিশ মাছ কমে যাচ্ছে। সে জায়গায় আসছে সমুদ্র ও মিয়ানমারের ইলিশ। যে কারণে বাঙালির প্রিয় খাদ্য ইলিশ মাছ এখন অপ্রিয় খাদ্যে পরিণত হতে চলেছে। বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ তার গন্ধ, বর্ণ, সৌন্দর্য হারিয়ে স্বাদহীন মাছে পরিণত হয়েছে। ইলিশ মাছের সেই বনেদিয়ানা ও স্বাদ ফিরিয়ে আনতে হলে জাটকা নিধন রোধ, কারেন্ট জাল বন্ধ করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। বাঙালি তার যাবতীয় অর্জনগুলো হারিয়ে নিঃস্ব হলেও তার খাদ্য ও আতিথেয়তাটুকুর অন্তত সুখ্যাতি ছিল। কিন্তু মৌসুমি ফল আর ঐতিহ্যবাহী পদ্মার ইলিশ এখন বাঙালির রসনাকেই তৃপ্ত করতে পারছে না। সে ক্ষেত্রে বাঙালি তার আতিথেয়তার দুই প্রিয় উপকরণ দিয়ে কীভাবে অতিথিকে আপ্যায়িত করবে? একে একে বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নানা অর্জনগুলো যখন নষ্ট-ভ্রষ্ট হয়ে গেছে, ঠিক তখন মৌসুমি ফল আর পদ্মার ইলিশকে হারিয়ে আমরা আরো বেশি নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি।
দৈনিক সংবাদ : ২৩ মে ২০০৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন