আজকাল ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিংবা দূরালাপনীতে কথা বললেও আশপাশের মানুষজনও সচকিত হয়ে ওঠেন। কথা বলার ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধ তো দূরে থাক, একান্তে বা নিঃশব্দে কথা বলার চল যেন আমাদের জীবন থেকে উঠে গেছে। চিৎকার করে কথা না বললে যেন কেউ কারো কথা শুনতে পান না। এমনটি তো এই কিছুদিন আগেও ছিল না। তাহলে হঠাৎ এমন কি হলো, যে জন্য বদলে যাচ্ছে মানুষ! কথা বলছেন উচ্চ কলরবে। আসলে নাগরিক জীবন আমাদের বদলে দিচ্ছে। ঢাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যতই বাড়ছে, ততই বাড়ছে কোলাহল। চারপাশের কোলাহলে মানুষ ক্রমশ উচ্চভাষী হয়ে যাচ্ছেন। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে- জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে উঁচু গলায় কথা বলার কী সম্পর্ক? সম্পর্কটা এখানে, ঢাকায় যে হারে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, তার চেয়ে বেশি বাড়ছে যানবাহন। বছর তিনেক আগের এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, প্রতি বছর ঢাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। পক্ষান্তরে পরিবহন বৃদ্ধির হার আনুমানিক ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। এই বিপুলসংখ্যক পরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকায় শব্দ ও বায়ু দূষণের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। আর এর ফলে মানুষ ক্রমান্বয়ে বধির হয়ে যাচ্ছে। একটু খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, আমরা সবাই কথা বলছি জোরে জোরে, নতুবা একজনের কথা আরেকজনের পক্ষে শুনতে অসুবিধা হচ্ছে। অনেকটা কৌতুকাভিনেতা ভানু বন্দোপাধ্যায়ের সেই দুই বধিরের কথোপকথনের মতো। পৃথিবীর যে ক’টি শহরে শব্দ দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে ঢাকা অন্যতম। মূলত পরিবহন খাত থেকেই শব্দ দূষণের সূত্রপাত। রাজধানী ঢাকায় বিভিন্ন ডিজাইনের গাড়ি চলাচল করে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত দুই স্ট্রোকবিশিষ্ট বেবিট্যাক্সির উৎপাতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল নাগরিক জীবন। কিন্তু বেবিট্যাক্সি উঠে গেলে বায়ু দূষণ কিছুটা হ্রাস পেলেও শব্দ দূষণের মাত্রা কিন্তু একটুও কমেনি।
কেননা, ঢাকায় যেসব নানা কিসিমের যানবাহন চলাচল করে, তাদের অধিকাংশই পুরনো মডেলের। পুরনো মডেল হলেও কিছু আসে যায় না। কিন্তু এসব গাড়ির বেশিরভাগই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব গাড়ির কারণে শব্দ ও বায়ু দূষণ বেড়েই চলেছে। কেউ যদি ঢাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে একটুখানি গ্রামের দিকে যান, তিনি পাবেন তাজা ও সতেজ নিঃশ্বাস এবং শব্দহীন এক নির্জন পরিবেশ। ঢাকার তুলনায় গ্রামে দূষণের মাত্রা অনেক কম। বৃষ্টি-মৌসুমে বিশেষত নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত দূষণের পরিমাণ থাকে অত্যধিক। তবে কোনো মৌসুমেই শব্দ দূষণের হেরফের হয় না। ঢাকায় শব্দ দূষণের উৎপত্তিস্থল যানবাহন ছাড়াও আছে যখন-তখন ও যত্রতত্র নির্বাচনী প্রচারণা, সমাবেশ ও পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য সশব্দে মাইকিং, ইট ভাঙ্গার মেশিন, শিল্প-কারখানা, ঘরে-মিলনায়তনে-গাড়িতে উচ্চ শব্দে গান শোনা, জেনারেটরের তীব্র গর্জন ইত্যাদি। শব্দ দূষণের পাশাপাশি বায়ু দূষণও ঢাকাকে রোগাক্রান্ত করে রেখেছে। যানবাহন, শিল্প-কারখানা, ইটের ভাটাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নির্গত হয় কালো ধোঁয়া। এই কালো ধোঁয়ায় থাকে কার্বন মনোক্সাইড, হাইড্রো কার্বন, নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফার অক্সাইডের দূষিত উপাদান। আবাসিক এলাকা ও কর্মস্থলের আশপাশে এসব দূষিত উপাদান ছড়িয়ে পড়লে তা সরাসরি মানুষের দেহে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। এ কারণে অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেশি। শব্দ ও বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৫ হাজার লোক অকালে ঝরে যায়। এ তথ্য দিয়েছেন স্বয়ং পরিবেশমন্ত্রী।
শব্দ ও বায়ু দূষণের কারণে যে রোগে আক্রান্ত হতে হয়, তার মধ্যে অন্যতম- রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ব্রঙ্কাইটিস, বধির হয়ে যাওয়া, স্মায়ুর চাপ, ক্রনিক ডিজিজ ইত্যাদি। এছাড়া অমনোযোগিতা, ঘুমে ব্যাঘাত, মেজাজ চড়ে যাওয়া, আতংকিত হওয়ার মতো মানসিক ব্যাধি তো আছেই। হাসপাতালের রোগীদের মারাত্মক অসুবিধা ছাড়াও স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের সমস্যা ও পড়ালেখায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়ে থাকে। প্রতিবছর মৃত্যু ছাড়াও লাখ লাখ লোক নানারকম শারীরিক ও মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। শব্দ ও বায়ু দূষণ এড়ানো গেলে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৬৫ লাখ লোককে চিকিৎসাধীন এবং সাড়ে ৮ কোটি লোককে ছোটখাট অসুখে ভুগতে হতো না। বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় পরিবেশ ইউনিটের একজন ঊর্ধ্বতন পরিবেশ বিজ্ঞানী জীতেন্দ্র শাহ এক সমীক্ষায় জানিয়েছেন, শব্দ ও বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা গেলে প্রতি বছর বাংলাদেশ শুধু চিকিৎসা খাতেই ২০০ থেকে ৮০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি এড়াতে পারবে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবন করতে পেরে শব্দ ও বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ২০০০ সালে ৯ আগস্ট বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ সরকার প্রায় ২৪ কোটি টাকা ঋণ লাভ করে। কিন্তু সে টাকার কতটুকু সদ্ব্যবহার হয়েছে, তা জানা না গেলেও শব্দ ও বায়ু দূষণের মাত্রা বরং আগের মতোই আছে। প্রতিটি দিন, প্রতিটি ঘণ্টা দূষিত হচ্ছে বায়ু, সঙ্গে শব্দ দূষণের তীব্রতা। নাক ও মুখ দিয়ে দূষিত বায়ু ঢুকে শ্বাস-প্রশ্বাসের পাশাপাশি ফুসফুস ঝাঁজরা হয়ে গেলেও এ মুহূর্তে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে শব্দ দূষণ। শব্দ দূষণে বধির হয়ে যাওয়াটা একটা মামুলি ঘটনা। কিন্তু এর ফলে আমাদের øায়ু ও মানসিক যে বৈকল্য ঘটছে, তা থেকে উদ্ধার পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এ কারণে সাম্প্রতিক সময়ে স্মায়ু ও মানসিক রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এক সমীক্ষায় দেখা যায়, শতকরা ৯৭ শতাংশ ছাত্র জানিয়েছে, গাড়ির হর্নের কারণে তাদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটে। ৮৬ শতাংশ লোক শব্দ দূষণকে বড় সমস্যা বলে স্বীকার করেছেন। সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে চালানো এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, শব্দ দূষণকে ৭৮ শতাংশ লোক বলেছেন অধিকতর খারাপ, ৭১ শতাংশ বলেছেন শিরঃপীড়ার কারণ, ৪৯ শতাংশ বলেছেন মেজাজ সপ্তমে চড়ে যায়। ৪৩ শতাংশ অমনোযোগী হয়ে পড়ে ও ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় এবং ৩৩ শতাংশ কানে কম শুনতে পান। এঁদের সবাই কম-বেশি স্মায়ু ও মানসিক পীড়ায় ভুগছেন। আমাদের দেশে গবেষণার মান আশানুরূপ নয় বিধায় হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন কিংবা যারা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন কিংবা হন না, তাদের রোগের মূল কারণটা ধরতে পারা যায় না। তবে বিদেশি গবেষকরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের রোগের অন্যতম কারণ শব্দ ও বায়ু দূষণ। এ থেকে প্রতীয়মান হয়, শব্দ ও বায়ু দূষণ বাংলাদেশে কতটা ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ শব্দ ও বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ যেহেতু আমরা জানি, সেহেতু এই সমস্যা দূর করাটা কঠিন কোনো বিষয় নয়। প্রধানত যানবাহনের কারণেই হয় শব্দ ও বায়ু দূষণ। বিশেষ করে শব্দ দূষণ সৃষ্টি হয় ট্রাফিক জ্যাম থেকে। অধিকাংশ গাড়ির চালক ট্রাফিক জ্যাম ও সিগন্যাল থাকা সত্ত্বেও অনর্থক হর্ন বাজিয়ে নাভিশ্বাস তোলেন। রিকশা ও পথচারীদের কারণে গাড়ির চালকদের হর্ন বাজাতে হয়। রিকশাওয়ালারা অধিকাংশ সময় ট্রাফিক আইন মানতে চান না। অনেক পথচারী ইচ্ছেমত রাস্তা পারাপার এবং রাস্তার ওপর আড্ডা মারেন।
তাছাড়া ফুটপাত হকারদের দখলে চলে যাওয়ায় পথচারীদের রাস্তা দিয়েই হাঁটতে হয়। পরিস্থিতির কারণে গাড়ি চালকদের হর্ন বাজানো ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। ঢাকায় শব্দ ও বায়ু দূষণ দূর করার জন্য জরুরিভিত্তিতে যা করা দরকার : খুব বেশি প্রয়োজন না হলে গাড়ির হর্ন না বাজানো, নির্বাচনী প্রচারণা, সমাবেশ ও বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য মাইকিং নিষিদ্ধ, ট্যানারি, লেদ মেশিনসহ শিল্প-কারখানা করতে না দেয়া, ইট ভাঙার মেশিন নিষিদ্ধ, ২০ বছরের বেশি পুরনো যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ, আনফিট যানবাহন চলাচল বন্ধ, হাইড্রোলিক হর্ন নিষিদ্ধ, গাড়ির চালকরা যাতে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অবহিত হতে পারেন, সেটুকু শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা, বিদ্যুৎ চলে গেলে কিংবা বিদ্যুৎ থাকলেও জেনারেটর না চালিয়ে সৌরচুল্লী ব্যবহার করা, ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতি, ট্রাফিক ও শব্দ দূষণ সংক্রান্ত আইন কঠোরভাবে কার্যকর করা। সর্বোপরি জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। জনসচেতনতা গড়ে উঠলে শব্দ দূষণ ও বায়ু দূষণ দূর করা কঠিন নয়। মিডিয়ার ইতিবাচক ভূমিকার কারণেই দেশব্যাপী পলিথিনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠেছে। জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে শব্দ ও বায়ু দূষণ সংক্রান্ত লেখা থাকা এবং তা বাধ্যতামূলকভাবে পাঠ করা; পাশাপাশি সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরও এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। মানুষ যখন এর অপকারিতা বুঝতে পারবে, তখন তারা এমনি এমনিই সচেতন হয়ে উঠবে। সুস্থ ও সুন্দর জীবনের পাশাপাশি একটুখানি নিরিবিলি থাকতে কে না পছন্দ করে? নিরিবিলি পরিবেশ ছাড়া মানুষের মৌলিক চিন্তা-ভাবনার প্রসারণ ঘটে না। সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, দার্শনিক, মনীষী ও পণ্ডিত ব্যক্তিরা একটু একাকীত্ব থাকতে ভালোবাসেন। জ্ঞানচর্চার জন্য তারা বেছে নেন নির্জন পরিবেশ। এছাড়া কোনো কোনো ব্যস্ত মানুষও চান কাজের ফাঁকে একটুখানি প্রশান্তি। সাপ্তাহিক ছুটিতে সবাই ছুটতে চান এমন এক প্রাকৃতিক পরিবেশে, যেখানে নেই কোনো ঝঞ্ঝাট ও শব্দের কোলাহল। কিন্তু ঢাকা থেকে আস্তে আস্তে নির্জন পরিবেশ যেন হারিয়ে যাচ্ছে।
যে হারে ইট-পাথর-সিমেন্টের কর্কশ নিসর্গ গড়ে উঠছে, তার মাঝে একটুখানি স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নেয়ার সুযোগ নেই। যে সবুজ-শ্যামল প্রকৃতিতে রাজধানীর ঢাকার বিকাশ ও বিবর্তন, সেই ঢাকা এখন প্রাণহীন হয়ে পড়ছে। গাছপালা, সবুজ প্রকৃতি ক্রমশ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে খোলা প্রান্তর, মাঠ, উদ্যান। ক্রমান্বয়ে তা সংকুচিত হয়ে আসছে। এর মাঝে ঢাকার আইল্যান্ডগুলোতে রোপিত বৃক্ষগুলো কিছুটা হলেও আমাদের চোখ ও মনের ভোজন তৃষ্ণা মেটায়, সেই বৃক্ষগুলোও সড়ক উন্নয়নের নামে বিরল হয়ে উঠছে। একদিকে যখন সবুজ হারিয়ে যাচ্ছে, হারিয়ে যাচ্ছে নিসর্গ; অন্যদিকে রাজধানী ঢাকা শব্দ দূষণ ও কোলাহলময় হয়ে উঠছে। প্রতি মুহূর্ত শব্দ তরঙ্গে কেঁপে কেঁপে উঠছে। কোথাও কোলাহলমুক্ত পরিবেশ নেই। আমরা যেন শব্দের সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে হাবুডুবু খাচ্ছি। নিরন্তন উঁচু উঁচু ভবন গড়ে ওঠায় তার শব্দে প্রতিটি পাড়া-মহল্লার নির্জনতা ও নিরিবিলিটুকু হারিয়ে যাচ্ছে। একটুখানি বিশ্রাম ও পিন-পতন নীরবতায় ঘুমানো এখন স্বপ্ন হয়ে উঠেছে। ঘরের বাইরে বের হলে তো কথাই নেই। গাড়ির হর্নে কেঁপে ওঠে আমাদের শরীরের প্রতিটি লোমকূপ। যে হারে মানুষের জনস্রোত বাড়ছে, সে অনুপাতে বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। বাড়ছে শব্দ-নিনাদ। ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে কান, মস্তিষ্কের নিউরন। আর এর ফলে অনেকেই নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বধির হয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি দিন অসুস্থ ও বধির হয়ে যাচ্ছেন অসংখ্য লোক। তাহলে কেন জেনে-শুনে আমরা বিষ পান করবো! তাই আমাদের সবারই উচিত শব্দ দূষণ ও বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করা। এ মুহূর্তে এবং এখনই।
দৈনিক ভোরের কাগজ : ৮ মে ২০০৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন