পাঁচ তারকা হোটেলের লবিতে সুসজ্জিতা ঝলমলে এক মধ্য বয়সী ভদ্রমহিলা আয়েশী ভঙ্গিতে একাকী বসে আছেন। কিয়ৎ দূরে বসা স্যুটেড-ব্যুটেড মধ্যবয়সী এক সুবেশী ভদ্রলোক। এমন সময় ভদ্রমহিলা রোমান্টিক কণ্ঠে ফিস ফিস করে বলতে থাকেন : আর ইউ ফ্রি টু নাইট? সামনে বসা ভদ্রলোক ভাবলেন, বুঝিবা তাকেই প্রশ্ন করা হয়েছে। টাইয়ের নট ঠিকঠাক করতে করতে স্মার্ট ভঙ্গিমায় ভদ্রমহিলার কাছে যেয়ে চাপা খুশি নিয়ে বিনীতভাবে জানতে চাইলেন, মী! ভদ্রমহিলা একটু কটাক্ষ হেনে তাচ্ছিল্যভরা দৃষ্টিতে ভদ্রলোককে হোটেলের ওয়েটার মনে করে বললেন, ওয়ান ব্ল্যাক কাপ কফি, প্লিজ! তাকে ওয়েটার মনে করায় ভদ্রলোক দারুণভাবে বিব্রতবোধ করতে থাকেন। আসলে ভদ্রমহিলা মোবাইল ফোনে অন্য একজনের সঙ্গে এমনভাবে কথা বলছিলেন, মনে হচ্ছিল তিনি বুঝি সামনে বসা ভদ্রলোককে অ্যাপ্রোচ করছেন। এটা একটি মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপন।
সাড়া জাগানো এই বিজ্ঞাপনের মতো মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে ইদানীং ঘরে-বাইরে কিংবা পথে-ঘাটে নানাভাবে মানুষজন বিব্রত হচ্ছে। মোবাইল ফোনের সংখ্যা দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। তাতে এর জনপ্রিয়তার উত্তাপ সহজেই অনুভব করা যায়।
এখন সর্বস্তরের মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন। কেউ যদি কান চুলকাতে থাকেন, তাতেও মনে হয় বুঝিবা তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলছেন। মোবাইল ফোন এখন আর শুধু স্ট্যাটাস সিম্বল নয়, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তির অনন্য বিস্ময় মোবাইল ফোনের এই প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করা যায় না। বিজ্ঞানের এই আশীর্বাদ বিশ্বের মানুষের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। ২০০০ সাল পর্যন্ত বিশ্বের কমপক্ষে ২০০ মিলিয়ন লোক মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন বলে এক সমীক্ষায় জানানো হয়। এ সংখ্যা দ্রুত বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ এ থেকে পিছিয়ে থাকবে কেন? ইতোমধ্যে বাংলাদেশের চারটি মোবাইল ফোন কোম্পানির গ্রাহক সংখ্যা তের লাখ ছাড়িয়ে গেছে। যোগাযোগের জন্য জনগণের প্রিয় বাহন মোবাইল ফোন, যা পাশ্চাত্যে সেল ফোন হিসেবে পরিচিত। মোবাইল ফোনের উপকারিতা অবশ্যই আছে। বদলে দিচ্ছে অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা। মোবাইল ফোন আসার আগে বাংলাদেশে ব্যবহৃত হতো অ্যানালগ ফোন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ ফোন পেতে মানুষকে বছরের পর বছর অপেক্ষায় থাকতে হয় চাতক পাখির মতো। যেন এটা এক অমূল্য সম্পদ। সহজে মানুষের হাতে পৌঁছে গেলে ক্ষতি হয়ে যাবে দেশ ও দশের! আনুমানিক হিসাবে জানা যায়, এই কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের প্রতি এক হাজার লোকের মধ্যে মাত্র তিনজনের এই ফোন ছিল। বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ফোনের ব্যবহার ছিল খুবই সীমিত পরিসরে। আর এখন এ সংখ্যা দারুণভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। বেসরকারি পর্যায়ে উন্মুক্ত করে দেয়ার পর মোবাইল ফোন ঢুকে পড়েছে অজপাড়াগাঁয়ে। অবশ্য এক/দু’জন দুস্থ মহিলা বা কৃষকের হাতে মোবাইল ফোন ধরিয়ে দিয়ে তাকে যেভাবে বিজ্ঞাপিত করা হচ্ছে, তেমনটি না হলেও এই ফোন সবার মাঝে উন্মুক্ত করে দেয়ার পর খুলে গেছে যোগাযোগের দুয়ার। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে অনায়াসে কথোপকথন কিংবা তথ্য আদান-প্রদান করা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, চলতে চলতে কিংবা কাজে ডুবে থেকেও কথা বলতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। মোবাইল ফোন সবার জীবনে নিয়ে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের হাওয়া। সূর্যটা সবে ডুবছে। সন্ধ্যা আসি আসি করছে। এমন সময় আপনার ব্যক্তিগত কারে লং ড্রাইভে কোথাও যেতে ইচ্ছে হলো। পাশে বান্ধবী বা সদ্য বিবাহিত স্ত্রী। সিডিতে ধীরে ধীরে বাজছে ম্যাডোনার কোনো রোমান্টিক গান। পীচ-ঢালা পথের দু’পাশে সবুজের নিসর্গ। ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। মাতাল করা অনুপম পরিবেশ। এমন সময় মোবাইল ফোনটি গুনগুনিয়ে উঠলো। গাড়ি ড্রাইভ করতে করতে আবেগময় কণ্ঠে মেতে উঠলেন কথোপকথনে। সব মনোযোগ তখন মোবাইল ফোনে। এমন সময় চলমান কারের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নির্জন কোনো স্থানে দুর্ঘটনার শিকার হলেন। সাহায্য করার মতো আশপাশে তখন কেউ নেই। অথচ গুরুতর আহত অবস্থা থেকে উদ্ধার না পেলে অনিবার্য মৃত্যুর হাতছানি। এমন সময় হাতের মধ্যে ধরা অক্ষত মোবাইল ফোনটি প্রিয় বন্ধুর মতো আপনার দিকে হাত বাড়িয়ে দেবে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে আপনি উদ্ধার পেতে পারেন। মোবাইল ফোনটা আপনার বন্ধু এবং শত্রু দুটোই। মোবাইল ফোনে নিমগ্ন না হলে দুর্ঘটনাটি ঘটতো না। আবার মোবাইল ফোনটি কাছে না থাকলে মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শও ছুঁয়ে যেতে পারতো। নতুন কোনো প্রযুক্তি এলে আমরা দ্রুত তার প্রেমে মজে যাই। কিন্তু এর বিপরীত দিকটা কখনো ভেবে দেখতে চাই না।
মোবাইল ফোন একদিকে আমাদের জীবনকে যেমন দ্রুতগামী করেছে, অন্যদিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন মোবাইল ফোন ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। এমনকি এ থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। আমরা যে কোনো শব্দ শুনি, তার উৎস শব্দতরঙ্গ। কানের ভেতরে এয়ার ড্রামের সঙ্গে সংযুক্ত ছোট ছোট তিনটি হাড়ের সাহায্যে শব্দতরঙ্গ মস্তিষ্কে পৌঁছায়। মোবাইল ফোনে ফ্রিকোয়েন্সির কারণে কম্পনের সৃষ্টি হয়। এ কম্পন একটি শক্তি। তবে মোবাইল ফোনে স্বল্প মাত্রার ফ্রিকোয়েন্সির চেয়ে বেশি মাত্রার ফ্রিকোয়েন্সিগুলো মারাÍক। ক্রমাগত শব্দতরঙ্গে যে তাপ উৎপন্ন হয়, তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কানের শ্রবণ সহায়ক টিস্যু। প্রাথমিক অবস্থায় হেয়ারিং নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হলে মানুষ কানে কম শোনে, কানের মধ্যে ঝিঁ ঝিঁ শব্দ হয়, মাথা ঘোরায়, বসা থেকে দাঁড়ালে মাথা চক্কর মারতে থাকে ইত্যাদি। তবে সবচেয়ে যেটি মারাত্মক, তাহলো হেয়ারিং নার্ভের সঙ্গে মস্তিষ্কে অবস্থিত হেয়ারিং সেন্টারের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। ফ্রিকোয়েন্সি থেকে ক্রমাগত শব্দতরঙ্গ হতে থাকলে তা মস্তিষ্কের হেয়ারিং সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত করে। মস্তিষ্কের কোনো কোষ একবার নষ্ট হলে তা আর ঠিক হয় না। মোবাইল ফোন ব্যবহারজনিত বিপর্যয় অনেকটা এক্স-রে’র বিকিরণজনিত ক্ষতির সমতুল্য। একবার এক্স-রে এক্সপোজারের বিকিরণে হাজার হাজার সেল নষ্ট হয়ে যায়। ইট-পাথর দিয়ে যেমন বাড়ি তৈরি করা হয়, তেমনিভাবে সেল দিয়ে গঠিত হয় মানব দেহ। মস্তিষ্কের কোনো কোষ (ব্রেন সেল) ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকলে তা ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে। ক্যান্সার ছাড়াও মস্তিষ্কের কোনো অংশ অকেজো হয়ে গেলে আস্তে-ধীরে অথর্ব কিংবা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে। তবে যারা শক্তিশালী ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার এবং সার্বক্ষণিকভাবে মোবাইল ফোনে কথা বলে থাকেন, মূলত তারাই এর ভয়ানক শিকারে পরিণত হন। বিশ্বের কোটি কোটি লোক ব্যবহার করছে মোবাইল ফোন। তাদের মধ্যে প্রতি বছর হাজার হাজার লোক আক্রান্ত হচ্ছে ব্রেন ক্যান্সারে। যে যুক্তরাষ্ট্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শীর্ষে অবস্থান করছে এবং যেখানে একটি জীবনের মূল্য অপরিসীম, সেখানেও মোবাইল ফোনের কারণে প্রতি এক লাখে ৬ জন ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। ১৯৯২ সালের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত স্বাস্থ্যের ওপর মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাবের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। ফ্লোরিডার একজন বাসিন্দা ডেভিড রেনার্ড আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন যে, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তার স্ত্রী আক্রান্ত হয়েছেন মারাত্মক ব্রেন ক্যান্সারে। কিন্তু আদালতে উপযুক্ত বৈজ্ঞানিক নমুনা তুলে ধরতে না পারায় ১৯৯৫ সালে ফেডারেল কোর্ট তার মামলা খারিজ করে দেন। তবে আদালতে মোবাইল কোম্পানির সওয়াল-জবাবও সন্তোষজনক ছিল না। যে কারণে আদালত তাদেরকে সাবধানতা অবলম্বনের নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীকালে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যত্র মোবাইল ফোনের ব্যবহারের সঙ্গে বিকিরণ ও ক্যান্সারের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হয়। মামলা খারিজ হওয়ার পর দীর্ঘদিন চেষ্টা চালিয়ে ডেভিড রেনার্ড বৈজ্ঞানিক নমুনাসহ পুনরায় আদালতে মামলা উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্র্যামে বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সিতে তারবিহীন যোগাযোগ করা হয়। মূলত দুটি ফ্রিকোয়েন্সিতে যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইল ফোন পরিচালিত হয়। পুরনো সিস্টেমটি হচ্ছে, ৮৫০ মেগাহার্জ এবং নতুন পার্সোনাল কমিউনিকেশন্স সার্ভিস অর্থাৎ পিসিএস-এ প্রায় ১৯০০ মেগাহার্জ। ইউরোপীয়রা একটি ভিন্নধর্মী প্রযুক্তি এবং কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে থাকে। তাদের পদ্ধতি হচ্ছে, গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন্স (জিএসএম)। তাছাড়া অ্যানালগ হ্যান্ডসেট ফোনে বিকিরণ হয় মাত্র ৬০০ মেগাওয়াট কিংবা তার চেয়েও কম। অনেক ডিজিটাল মডেল ফোন উৎপন্ন হয় ১২৫ মেগাওয়াটে। এ কারণে অ্যানালগ ফোন তেমন কোনো ক্ষতিকর নয়। কিন্তু মোবাইল ফোন নিয়ে আদালতে মামলা হওয়ার পর তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা অব্যাহত রয়েছে। মোবাইল কোম্পানিগুলো এর পেছনে ব্যয় করেছে কোটি কোটি ডলার। তারা প্রমাণ করার চেষ্টা করে, একটানা খুব বেশি ব্যবহার না করলে মোবাইল ফোন তেমন ক্ষতির কারণ নয়। এমন একটি তথ্য ১৯৯৯ সালের নভেম্বর প্রকাশিত হয় আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে। কিন্তু সুইডিশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের অর্থায়নে সুইডেনের বিজ্ঞানী লেনার্ট হার্ডেল ও তার সহযোগীরা পরীক্ষা চালিয়ে দেখতে পান, ৪২৫ জন স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তির তুলনায় মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ২০৯ জন সুইডিশ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়েছেন। সিয়াটলের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের হেনরি লেই ও তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে তারা মোবাইল ফোনের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির বিকিরণ থেকে ক্ষতিকর প্রভাব দেখতে পেয়েছেন। এর ফলে মস্তিষ্কের কোষের ডিএনএ ভেঙ্গে যায়। তাতে ক্যান্সারের সম্ভাবনা থেকে যায়। কানাডিয়ান টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে ওয়ারলেস টেকনোলজি কমিউনিকেশন্সের সাবেক প্রধান কার্লো বলেছেন, যারা তারবিহীন ফোন ব্যবহার করেন, তাদের মস্তিষ্কের ক্যান্সারে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষিতে এগিয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে গলা ও মাথায় ক্যান্সার হয় কিনা- তা ব্যাপকভিত্তিক পরীক্ষা করার জন্য ইউরোপীয় কমিশন ৮০ লাখ ইউরো দিয়েছে ফ্রান্সের দ্য ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অব ক্যান্সারকে। তবে ১০টি দেশ এই সমীক্ষায় অংশ নেবে। তিন বছরের মধ্যে এই সমীক্ষা শেষ করতে হবে। এছাড়া শরীরের ওপর মোবাইল ফোনের প্রভাব নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ মিলিয়ন ডলারের পরীক্ষা চালাচ্ছে। মোবাইল ফোন থেকে কানের সমস্যা, ক্যান্সার ও অন্যান্য রোগ থেকে রেহাই পেতে সাময়িকভাবে একটি নতুন ধরনের ডিভাইস তৈরি করা হয়েছে। এই ডিভাইস যারা ব্যবহার করেন না, তারা ব্যবহারকারীদের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি ক্যান্সার ও অন্যান্য সমস্যায় আক্রান্ত হন। কিন্তু এই ডিভাইস মূলত পাশ্চাত্য দেশগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশে তো কোনো কিছুরই যথাযথ সমীক্ষা হয় না। সবকিছুই কল্পিত ধারণা দিয়ে নিরূপণ করা হয়। যে কারণে যে কোনো তথ্য পাওয়া খুব কঠিন। তবে ইদানীং ইএনটি (নাক-কান-গলা) চিকিৎসকদের অবস্থা রমরমা হয়ে উঠেছে। যদিও এ নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি, তদুপরি কিছু রোগী ও চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের কান ও কানকে কেন্দ্র করে আনুষঙ্গিক সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। আমাদের দেশে কী ধরনের মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে এবং এর ক্ষতিকারক প্রভাব কী, তা জানা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর ভূমিকাও স্বচ্ছ নয়। মোবাইল ফোন বন্ধু, না নীরব ঘাতক- তা জরুরিভিত্তিতে নিরূপণ করা প্রয়োজন। কেননা, মোবাইল ফোনের যদি ক্ষতিকর প্রভাব থেকে থাকে, তাহলে আমাদের জাতীয় জীবনে যে সর্বনাশ হয়ে যাবে, তা থেকে খুব সহসা পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব বলে মনে হয় না। বিভিন্ন দেশে যেহেতু নানা গবেষণা ও সমীক্ষায় এটা অন্তত প্রমাণিত হয়েছে যে, মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত কথা বলা শরীরের জন্য ক্ষতিকর, সেক্ষেত্রে এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আপনি কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কিংবা আদৌ হচ্ছেন কি না, সে বিষয়ে আধুনিক প্রযুক্তিতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্ট্যাবিলাইজার ৗই*ঊ*ইৗ. আপনি যদি তাদের একটি প্রশ্নমালার ছক পূরণ করে পাঠান, তাহলে দু’মিনিটের মধ্যে পেয়ে যাবেন আপনার কাক্সিক্ষত উত্তর। যোগাযোগ করুন এই ই-মেইলে : র্র্দয://ষষষ.রটঢটর৩.ডমব/ ণফণর্ডরমবটথভর্ণধড-রটঢধর্টধমভর্-র্ণ্র.র্দবফ.
দৈনিক বাংলাবাজার : ২৩ জুলাই ২০০৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন