পৃষ্ঠাসমূহ

মেঘালয়ের কোলে জোছনা ও জোনাকি

এই শহর আমাকে ক্লান্ত করে তোলে। বিষণ্ন করে তোলে। নানা জট, নানান জটিলতা আর সম্পর্কের টানাপড়েনে বড্ড হাঁপ ধরে যায়। মনের মধ্যে সর্বদাই একটা...

বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

কবিতা যেন অধরা এক মাধুরী

শুরুতেই কবুল করে নেওয়া ভালো, কবিতার সঙ্গে আমার বোঝাপড়া আজ অব্দি হলো না। আমার কাছে কবিতা যেন অধরা এক মাধুরী। যার মাধুর্য কিছুটা অনুভব করতে পারি। তবে ঠিকমতো বুঝতে পারি না। আর যে কবিতা বুঝতে পারে না, তার কাছে তো জীবনানন্দ দাশ দূর আকাশের অচেনা কোনও নক্ষত্র হয়ে থাকার কথা। এই বোধটুকু অন্তত আছে, জীবন বাবুর নাগাল পেতে হলে প্রথমে গভীরভাবে বুঝতে হয় কবিতা। তারপরই না অবগাহন করা যায় ধানসিঁড়ি নদীতে। বড়ই জটিল জটিল লাগে। এমন এক জটিলতায় তাঁকে আপন ভাবার সুযোগ কোথায়? অবশ্য এর উত্তর তো তিনিই দিয়েছেন, ‘আরো এক বিপন্ন বিস্ময়/আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতর/খেলা করে’। এটা যে কীভাবে খেলা করে, তার ব্যাখা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তারপরও কী এক দুর্জ্ঞেয় কারণে প্রিয় কবি হয়ে যান তিনি। বুঝতে না পারলেও তাঁর কবিতা ‘অন্তর্গত রক্তের ভিতর’ যেভাবে দোলা দেয়, যেভাবে সম্মোহিত করে, তেমনভাবে আর কেউ পারেন না। এটাই বোধকরি তাঁর মুন্সিয়ানা। সেই কৈশোরে তাঁর কবিতার সঙ্গে যখন পরিচয় হয়, তখন থেকেই কেন জানি মনে হয়, সবাই কবিতা লেখেন কলমের কালি দিয়ে। আর তিনি লেখেন আঙুলের রক্ত দিয়ে। এমন মনে হওয়ার যুক্তিসঙ্গত কোনও কারণ আমি বলতে পারবো না। সব কিছু তো যুক্তি দিয়ে বোঝানো যায় না। তিনিই তো কোনও কিছু যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চান নি। জীবিতকালে কেউ তাঁকে বুঝতেও পারে নি। না বোঝার অভিযোগ আর অভিমান নিয়ে চলে গেছেন তিনি। এখন কিন্তু তাঁকে বুঝতে চাওয়ার ঝোঁক বাড়ছে। যতই দিন যাচ্ছে, ততই যেন তিনি কবিতানুরাগীদের আপন হয়ে ওঠছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন