অনেক দিন যাবৎ পাদপ্রদীপের আলোয় নেই জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী আদনান সামি। একটা সময় সংগীত জগত কাঁপিয়েছেন তিনি। উপমহাদেশের ঘরে ঘরে বেজেছে তার গান। অনেকেই তার অনুরাগী হয়ে ওঠেন। যে আমি উর্দু কিংবা হিন্দি বুঝি না, সেও তার গানে হয়ে যাই মাতোয়ারা। এখনও সেই গান হঠাৎ যখন শুনি, দুলিয়ে দেয় মন-প্রাণ। এখনও সক্রিয় আছেন সংগীত জগতে। অথচ নতুন কোনো গান দিয়ে তিনি সাড়া জাগাতে পারছেন না তিনি। তার সবটুকুই কি দেওয়া হয়ে গেছে? সে কি করে হয়? অসামান্য প্রতিভাবান এই শিল্পী। অল্প বয়সেই সাড়া জাগান। দ্রুতলয়ের কীবোর্ডিস্ট হিসেবে চমক দেখান। পিয়ানো বাজানোতে তার জুড়ি নেই। গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবেও তার সুখ্যাতি রয়েছে। নব্বই দশকের শুরুতে জন্মভূমি পাকিস্তানে তার গানের প্রথম একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। এরপর চলচ্চিত্র জগতেও প্রবেশ করেন। প্রথম স্ত্রী জেবা বখতিয়ারের সঙ্গে একটি মাত্র চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তবে গানই হয়ে ওঠে তার ধ্যান-জ্ঞান-সাধনা। ২০০০ সালে ভারতের খ্যাতিমান শিল্পী আশা ভোঁসলের সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রকাশ করেন রোমান্টিক গানের অ্যালবাম ‘কভি তো নজর মিলাও’। ব্যাস, তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। যেন বিস্ফোরণ ঘটান তিনি। বিশেষ করে ‘কভি তো নজর মিলাও’ ‘ভিগি ভিগি রাতও মে’ ও ‘লিফট করা দে’ সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। তাকে নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যায়। উপমহাদেশের সংগীত জগতে তিনি হয়ে ওঠেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। প্রথম অ্যালবামের রেশ ফুরাতে না ফুরাতেই ২০০২ সালে আসে ‘তেরে চেহরা’। এই অ্যালবামও বেশ সাড়া জাগায়। চারিদিকে শুধু আদনান সামি আর আদনান সামি। বাংলাদেশেও তখন তিনি তুমুল জনপ্রিয়।
২০০৩ সালে তাকে বাংলাদেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হলে আলোড়ন পড়ে যায়। যে আমি পারতপক্ষে কোলাহল এড়িয়ে চলি, সেও তার গান শোনার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠি। কিন্তু চাইলেই তো আর টিকিট পাওয়া যায় না। যাহোক, ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থায় আয়োজিত তার কনসার্টে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়। মোটাসোটা শরীর নিয়ে তিনি মাতিয়ে দেন। এমনিতেই ছিলাম তার গানের অনুরাগী, লাইভ কনসার্ট দেখার পর রীতিমতো তার ভক্ত বনে যাই। যে কারণে অন্তরের তাগিদ থেকেই তার খোঁজ-খবর কিছুটা রাখার চেষ্টা করি। এরমধ্যে অবশ্য মন খারাপ করার মতো অনেক ঘটনা তার জীবনে ঘটেছে। সাংসারিক বিপর্যয় তো ছিলই। শারীরিকভাবেও সুস্থ ছিলেন না। অস্বাভাবিক ওজন নিয়ে সুস্থ থাকাটা কঠিন বৈকি। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শে ডায়েট, এক্সারসাইজ ও ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে ওজন কমিয়ে নিজেকে আধখানা আদনান সামি করে ফেলেন। বাড়তি মেদ ঝরালে একদমই বদলে যান তিনি। কিন্তু দাম্পত্য জীবনের কলহের কারণে তিনি বোধকরি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। আদালত অব্দি ছোটাছুটি করতে হয়। এরপর আর প্রকৃত আদনান সামিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বয়স ৪০ হওয়ার অনেক আগেই একপ্রকার হারিয়ে গেছেন প্রিয় এই শিল্পী। মেধাবীরা তো এত সহজে নিভে যেতে পারেন না। অবশ্য এটাও ঠিক, বেশি প্রতিভা নিয়ে জন্মালে কারো কারো ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। আদনান সামিরও কি তাই হলো? তবুও প্রতীক্ষায় আছি, আবার জ্বলে ওঠবেন আদনান সামি। গানে গানে মাত করে দেবেন চারদিক।
২০০৩ সালে তাকে বাংলাদেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হলে আলোড়ন পড়ে যায়। যে আমি পারতপক্ষে কোলাহল এড়িয়ে চলি, সেও তার গান শোনার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠি। কিন্তু চাইলেই তো আর টিকিট পাওয়া যায় না। যাহোক, ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থায় আয়োজিত তার কনসার্টে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়। মোটাসোটা শরীর নিয়ে তিনি মাতিয়ে দেন। এমনিতেই ছিলাম তার গানের অনুরাগী, লাইভ কনসার্ট দেখার পর রীতিমতো তার ভক্ত বনে যাই। যে কারণে অন্তরের তাগিদ থেকেই তার খোঁজ-খবর কিছুটা রাখার চেষ্টা করি। এরমধ্যে অবশ্য মন খারাপ করার মতো অনেক ঘটনা তার জীবনে ঘটেছে। সাংসারিক বিপর্যয় তো ছিলই। শারীরিকভাবেও সুস্থ ছিলেন না। অস্বাভাবিক ওজন নিয়ে সুস্থ থাকাটা কঠিন বৈকি। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শে ডায়েট, এক্সারসাইজ ও ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে ওজন কমিয়ে নিজেকে আধখানা আদনান সামি করে ফেলেন। বাড়তি মেদ ঝরালে একদমই বদলে যান তিনি। কিন্তু দাম্পত্য জীবনের কলহের কারণে তিনি বোধকরি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। আদালত অব্দি ছোটাছুটি করতে হয়। এরপর আর প্রকৃত আদনান সামিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বয়স ৪০ হওয়ার অনেক আগেই একপ্রকার হারিয়ে গেছেন প্রিয় এই শিল্পী। মেধাবীরা তো এত সহজে নিভে যেতে পারেন না। অবশ্য এটাও ঠিক, বেশি প্রতিভা নিয়ে জন্মালে কারো কারো ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। আদনান সামিরও কি তাই হলো? তবুও প্রতীক্ষায় আছি, আবার জ্বলে ওঠবেন আদনান সামি। গানে গানে মাত করে দেবেন চারদিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন